স্নেক আইল্যান্ড বা সাপের দ্বীপ অনেকেই হয়তো এই দ্বীপের নাম শুনেছেন। আবার এমনও হতে পারে দ্বীপটার নাম জানা নেই। বিশ্বে এমনও অনেক বিষয় আছে যেটি আমাদের জানার বাইরে থেকে যায়। তাই সকলের জানার জন্য আজকের আর্টিকেলটি। স্নেক আইল্যান্ড পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ানক জায়গা। পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত সাপের বাস এই দ্বীপে। এই দ্বীপের সাপের বিষ মানুষের মাংস পর্যন্ত গলিয়ে দিতে পারে।
সাপ বলতে আমরা ভাবি, বিষ – যদিও বিষহীন ঢোঁড়া সাপও কম নেই৷ সাপ নিয়ে কিংবদন্তিরও শেষ নেই৷ কিন্তু সবচেয়ে বিষধর সাপ কোনটি? সবচেয়ে বড় সাপ? সবচেয়ে ছোট সাপ? ছবিঘরে থাকছে এমন আরো অনেক প্রশ্নের উত্তর৷
সবচেয়ে বিষধর সাপ
অস্ট্রেলিয়ার ইনল্যান্ড টাইপান নামের সাপটির এক ছোবলে নাকি একশ’মানুষ মারার মতো বিষ আছে৷ সেই বিষ একই সঙ্গে স্নায়ু, রক্ত ও মাংসপেশির উপর কাজ করে৷ সেমি-অ্যারিড বা কম বৃষ্টিপাতের এলাকায় টাইপানদের প্রকোপ বেশি৷
সবচেয়ে বেশি মানুষ মারে যে সাপ
ইংরেজি নাম ‘স-স্কেল্ড ভাইপার’, বাংলায় বলে বাঁকোরাজ বা ফুর্শা, যদিও পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশে এ সাপ বিশেষ দেখা যায় না৷ চিকিৎসা না হলে, এই সাপের কামড়ে প্রত্যেক দশজন রোগীর মধ্যে একজন মারা যায়, কাজেই খুব বিষধর নয়৷ বদমেজাজি এবং যখন-তখন ছোবল দেয় বলে এ সাপ খুবই মারাত্মক৷
সবচেয়ে বড় হাঁ
সাপের নীচের চোয়ালটা ওপরের চোয়াল থেকে আলাদা বলে নিজের দ্বিগুণ সাইজের জন্তুজানোয়ারও আস্ত গলাধঃকরণ করতে পারে৷ কিন্তু ২০০৫ সালে ফ্লোরিডার এভারগ্লেডস ন্যাশনাল পার্কে একটি পাইথন একটি আস্ত কুমির গেলার চেষ্টা করতে গিয়ে পেট ফেটে মরেছিল৷ সাপটিকে যখন খুঁজে পাওয়া যায়, তখন কুমিরের ল্যাজ তার পেট ফুটো করে বেরিয়ে রয়েছে৷
সবচেয়ে বড় সাপ
সবুজ আনাকোন্ডা হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাপ৷ থাকে দক্ষিণ আমেরিকার গভীর জঙ্গলে জলে-ডোবায়৷ প্রায় নয় মিটার বা ২৯ ফুট লম্বা আনাকোন্ডারও খবর পাওয়া গিয়েছে, যদিও সাধারণ আনাকোন্ডা চার মিটারের বেশি লম্বা হয় না৷ অজগর গোত্রীয় আনাকোন্ডা শিকারকে পাকিয়ে ধরে দম আটকে মারে৷
সবচেয়ে ছোট সাপ
বার্বাডোসের ‘থ্রেডন্সেক’ বা সুতো-সাপ মাত্র ১০ সেন্টিমিটার লম্বা, আর চাইনিজ খাবারের নুডলের চেয়ে বেশি মোটা নয়৷ সুতো-সাপ উঁইপোকা আর পিঁপড়ের ডিম খেয়ে বাঁচে৷ তাকে দেখতে পাওয়া যায় শুধুমাত্র ক্যারিবিয়ানের বার্বাডোজ দ্বীপে, যেখানে সবে ২০০৮ সালে তাকে প্রথম আবিষ্কার করা হয়৷
সবচেয়ে ভালো গা-ঢাকা দিতে পারে যে সাপ
তার নাম গাবুন ভাইপার, থাকে আফ্রিকার জঙ্গলে ৷ মাথার কাছে নকশাটা এমন যে, দেখলে মনে হবে যেন একটা ঝরা পাতা পড়ে রয়েছে৷ ভয়ঙ্কর বিষধর এই সাপটির বিষদাঁত অন্য যে কোনো সাপের চেয়ে লম্বা, পাঁচ সেন্টিমিটারের মতো৷ ভাগ্য ভালো, গাবুন ভাইপার খুব রগচটা নয়, তাই এই বোড়া সাপ খুব কম মানুষকে কামড়ায়৷
লং জাম্প চ্যাম্পিয়ন
ক্রিসোপেলিয়া গোত্রীয় এই ‘উড়ন্ত সাপ’ এক গাছ থেকে আরেক গাছ অবধি লাফ দিতে পারে – দরকার হলে ৩০ মিটার! উড়ন্ত সাপ টিকটিকি, ইঁদুর ইত্যাদি ধরে খায় – আবার ছোট ছোট পাখি, এমনকি বাদুড় পেলেও ছাড়ে না৷ কেন, তা নিশ্চয় বলে দিতে হবে না!