বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সহায়তা অব্যাহত রেখে কার্বন নিরপেক্ষ রোডম্যাপ তৈরির উদ্দেশ্যে গতকাল সোমবার সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড এবং জাপানের জেরা করপোরেশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান জেরা এশিয়া প্রা. লিমিটেড একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে।
এই চুক্তিতে বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন ত্বরান্বিত করতে এবং প্যারিস জলবায়ু চুক্তির লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে সামিটের শূন্য কার্বন নির্গমন লক্ষ্যমাত্রা স্থাপন, তা অর্জনের রূপরেখা তৈরি এবং হাইড্রোজেন বা অ্যামোনিয়ার মতো সবুজ-জ্বালানি ব্যবহার করে ডিকার্বনাইজেশনের প্রচেষ্টা জোরদার করবার নির্দেশনা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
কার্বন নিরপেক্ষ রোডম্যাপ বাস্তবায়নের অঙ্গীকার সামিট ও জেরার
অনুষ্ঠানে সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আয়েশা আজিজ খান বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্লাইমেট ভালনারেবিলিটি ফোরামের (সিভিএফ) সদস্য হিসেবে ২০৪১ সালের মধ্যে জাতীয় জ্বালানি চাহিদার ৪০% পুর্নবীকরণযোগ্য উৎস থেকে সরবরাহ করার অঙ্গীকার করেছে। তার ধারাবাহিকতায়, সামিট এবং আমাদের অংশীদার জেরাকে সঙ্গে নিয়ে বিশ্বমানের অভিযোজন পদ্ধতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা শূন্য কার্বন নির্গমন লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য কাজ করতে চাই।
জেরা এশিয়ার সিইও তোসিরো কুদামা বলেন, ‘জেরা এশিয়া বাংলাদেশে ডিকার্বনাইজেশন প্রচেষ্টা বাস্তবায়নে সামিটের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আনন্দিত। জেরা নিজেও ২০৫০ সালের মধ্যে তার অভ্যন্তরীণ ও বিদেশি কার্যক্রমে কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমন কমিয়ে শূন্য-কার্বন অর্জন করতে চাইছে। আমরা বিশ্বাস করি, জেরা এবং জাপানের অভিজ্ঞতার আলোকে আমরা সামিট এবং সর্বোপরি বাংলাদেশকে সহায়তা করতে সক্ষম হব।’
সামিটের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ চাহিদা বাড়বে। বাংলাদেশ বিভিন্ন জ্বালানি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কার্যকারিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন খাত উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটানো এবং প্যারিস চুক্তির লক্ষ্য অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ