চট্টগ্রামের হাটহাজারীর দক্ষিণ মাদার্শা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ভাতিজাকে গুলি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার রাত ৮টার দিকে ইউনিয়নের মধ্যম মাদার্শা বকুলতলা এলাকায় এ ঘটনার পর রাত পৌনে ১১টা পর্যন্ত হাবিবুর রহমান বাড়ির দোতলা থেকে থেমে থেমে সাত–আটটি গুলি ছুড়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির নাম মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন (৫০)। তাঁকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। গুলির ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
রোববার রাত ১১টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় পুলিশ প্রথম আলোকে জানিয়েছে, ওই বাড়ির কাছে ঘেঁষতে পারছে না তারা। হাবিবুর রহমান পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ছেন।
পুলিশ, স্থানীয় বাসিন্দা এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোববার রাত ৮টার দিকে ছোট শিশুদের ঝগড়া নিয়ে মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান তাঁর ভাতিজা আরব আমিরাতফেরত প্রবাসী মুহাম্মদ জসিম উদ্দিনকে গুলি করেন। চোয়ালে গুলি লেগে গুরুতর আহত হন জসিম। খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (হাটহাজারী সার্কেল), হাটহাজারী থানার ওসি ও মদুনাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিন হয়। এরপর আবার চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান দুই থেকে তিনটি অস্ত্র দিয়ে একের পর এক গুলি ছুড়তে থাকেন বাড়ির দোতলা থেকে। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে দিগ্বিদিক ছুটতে থাকেন। এমনকি পুলিশও আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
দক্ষিণ মাদার্শা ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান সরোয়ার চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে আসেন। গোলাগুলির মধ্যে তিনি কিছু বলতে পারছেন না। পরে বিস্তারিত জানাবেন।
হাটহাজারীর মদুনাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, হাবিবুর রহমান তুচ্ছ বিষয় নিয়ে গুলি করে তাঁর ভাতিজা জসিমকে আহত করেন। গুলি জসিমের চোয়ালে লেগেছে। ওই চেয়ারম্যান কিছুক্ষণ পরপর গুলি ছুড়ছেন। তাঁরা বাড়ির ভেতরে ঢুকতে পারছেন না। তাঁকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।