ভারতের পশ্চিমবঙ্গে স্কুলশিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি নিয়ে এখন তোলপাড় চলছে। বিশাল এ দুর্নীতিকাণ্ডের তদন্ত করছে ভারতের দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই ও ইডি। এ দুর্নীতিতে জড়িয়ে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যসহ শিক্ষা খাতের ছয়জন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। এই দুর্নীতিকাণ্ডে এবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি তুলেছেন বিরোধীরা।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলের নেতা ও বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী গতকাল বলেন, ‘এসব দুর্নীতির পেছনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা নিজেও ছিলেন। তাই তাঁকে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে।’
শুভেন্দু আরও বলেন, ‘অতীতে বিভিন্ন সময় সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী এবং গুজরাটের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারলে, তারা কেন মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে জেরা করতে পারবে না?’
এর আগে বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ ও পশ্চিমবঙ্গ শাখার সভাপতি সুকান্ত ভট্টাচার্য বলেছিলেন, এই দুর্নীতিকাণ্ডে মমতাকেও জেলে যেতে হতে পারে।
শুধু বিজেপি নয়, পশ্চিমবঙ্গের বাম নেতারাও মমতাকে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি তুলেছেন। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী গতকাল বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে তদন্তের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। দুর্নীতির এসব ঘটনা মুখ্যমন্ত্রী জানেন না, এটা বললে চলবে না। অবিলম্বে তাঁকে (মমতাকে) জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত।’
এদিকে শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতির প্রসঙ্গ নিয়ে গতকাল কলকাতার মেয়র ও তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘এ রাজ্যের ইডি-সিবিআই শুভেন্দুর কথায় কি চলছে? যদি তা–ই হয়, তবে বলব, এটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যের। বুঝতে হবে, আজ গোটা দেশ গভীর সংকটে পড়েছে। তাই আমাদের এ সংকট উত্তরণের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হতে হবে।’